রবিবার, ২২ জুলাই, ২০১২

কেন কলম ধরা হয়েছে ?

">১০৪৭-এর ১৫ আগস্ট ব্রিটিশ ভারত ছেড়ে স্বদেশে ফিরলেও তাদের কয়েকশো বছরের ক্রিয়াকলাপের প্রতিক্রিয়া আজও বলিষ্ঠভাবে চলমান।
প্রশ্ন আসতে পারে এত পুরনো কাসুন্দির ঝুট ঝামেলায় যাওয়ার প্রয়োজন কী? ঐ পুরনো দিনের কথা, লিপি, ইতিবৃত্ত, ঘটনাই তো ইতিহাস। যা জানা মানুষ জাতিরই একচেটিয়া অধিকার, যা সম্ভব নয় পৃথিবীর অন্য আর কোন জীবের পক্ষে- মানুষ এবং পশুত্বের অন্যতম ব্যবধান তো সেখানেই। এসব সত্ত্বেও এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কলম ধরা হয়েছে শুধু ইচ্ছের বশবত হয়ে নয়, বরং কোটি কোটি মানুষের প্রতীক্ষার পরিপ্রেক্ষিতেই।

শনিবার, ২১ জুলাই, ২০১২

বিস্ময়কর ইতিহাস ২



অতিতের ইতিহাস ভবিষ্যৎ গড়ার মাধ্যম। বড়ই দুরভাগ্যের কথা যে, ভারতের সঠিক ইতিহাসও সহজলভ্য নয়। তবে এ কথা সত্য যে, দেশের কোটি কোটি মানুষ সঠিক ইতিহাস জানার জন্য উদগ্রীব।
প্রচণ্ড বুদ্ধিমান ব্রিটিশ ভারতে ব্যবসায়ীবেসে এসে সক্ষম হয় বাণিজ্যের তুলাদণ্ড কে রাজদণ্ডে পরিণত করতে। কালক্রমে ব্যবসা ছেড়ে দিয়ে দখল করল সিংহাসন, আর দেশের সম্পদ-সম্পত্তি নিয়ে চলে গেল ইংল্যান্ডতাদের গ্রেড ব্রিটেনের দারিদ্র দূর হয়ে বয়ে গেল স্বাচ্ছন্দের প্রাচুর্য,আর ভারত হয়ে গেল রস নিংড়ানো ছিবরের মত নিরস এক দেশ- মুসলমানদের সাতশো বছরের বেশি রাজত্ব করার ক্ষমতা, সামরিক ও অর্থনৈতিক শক্তি উড়ে গেল এক ফুঁৎকারে! নিশ্চয় তা ম্যজিক ছিলনা, বরং তা ছিল একটা  আন্তর্জাতিক চক্রান্ত বা বুদ্ধির খেলা। সেই হিসেবে স্বীকৃতি দিতেই হয় ব্রিটিশের বিজয় বা ব্রিটিশ ব্রেনকে। তাদের ভারতবর্ষে আসার পূর্ব থেকে কয়েকশো বছরের বিজ্ঞানসম্মত প্রস্তুতি এক  অপ্রচারিত চিত্তাকর্ষক ইতিহাস। তারপর তাদের আগমনের তারিখ থেকে ভারতবর্ষ ত্যাগের তারিখ পর্যন্ত যে কৌশলময় বৌদ্ধিক রাজনৈতিক কার্যকলাপ সেও এক উল্লেখযোগ্য অপ্রচারিত বিস্ময়কর ইতিহাস।

বিস্ময়কর ইতিহাস


আমাদের কাছে এক বিশাল সঙ্কট বা বড় রকমের সমস্যা হচ্ছে এই যে, পুরনো দিনের তথ্য ও তত্ত্ব জানতে গেলে বিকৃত তথ্য, মিথ্যা পরিবেশনা অথবা অথবা অসত্য প্রচারের চলমান ধারা গলধঃকরণ করতে বাধ্য হতে হয়। রাজা রামমোহন রায়, প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং ঠাকুর বাড়ীর নেতৃবৃন্দ, স্বামী বিবেকানন্দ, শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব, হরপ্রসাদ শাস্ত্রী, স্যার সৈয়দ আহমাদ, গান্ধিজি প্রমুখ মহামনীষীদের সহজলভ্য ইতিহাস শুধু চাঁদের আলোর মতই প্রচারিত। কিন্তু চাঁদের বহুল প্রচারিত আলোর ইতিহাস যতই জনপ্রিয় হোক সেটি কিন্তু অন্ধকারাচ্ছন্ন কুৎসিত গর্তে ভরা ভয়ঙ্কর একটি স্থান। ঠিক সেই রকম সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশের আগমন, তাদের সম্রাজ্য বিস্তার, শোষণ শাসন এবং দেশীয় নেতানেত্রীদের সাথে তাদের সুপরিকল্পিত সংযোগ এক অপ্রচলিত ও ওপ্রচারিত বিস্ময়কর ইতিহাস।

বৃহস্পতিবার, ১২ জুলাই, ২০১২

খাপ না খাওয়ানো’র ইতিহাস



উপমহাদেশের মানুষকে শেখানো হয়েছে মুসলমানেরা উন্নতি করতে পারেনি কারণ তাঁরা নাকি ব্রিটিশ সরকারের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারেনি, আর এই না পারার পিছনে ছিল নাকি তাঁদের ধর্মের গোঁড়ামি, অহমিকা, অথবা ইংরেজি শিক্ষার প্রতি অবহেলা- এককথায় দূরদর্শিতার অভাব ! কিন্তু যদি প্রমাণিত হয় যে, সেইসময় শাসক সরকারের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার অর্থ ছিল ব্রিটিশের শোষণ ও অপশাসনকে হার্দিক সমর্থন করা, তাতে মদদ জোগানো, স্বার্থসিদ্ধির জন্য স্বধর্ম ত্যাগ করা এবং সাহেবদের আদেশ আব্দার উপদেশ অনুযায়ী নিজের স্ত্রী, কন্যা, বোন ও পুত্রবধূকে নিবেদন করে তাদের ঔরসজাত মিশ্রিত রক্তের একটি সহকারী ভারতীয় দল সৃষ্টি করতে দেওয়া তাহলে ? কেউ ঐ প্রস্তাবকে তখন সুযোগ আবার কেউ সেটাকে একটি মারাত্মক দুর্যোগ বলে মনে করেছিল। আধুনিক ইতিহাস গবেষকদের দেওয়া এই তথ্য সত্য হলে মুসলিম সমাজের ঐ খাপ না খাওয়ানোর অক্ষমতাটুকু কি পাশবিক অপরাধ নাকি মানবিক গুণ? এই সমস্ত বিচার বিশ্লেষণ এবং সিদ্ধান্ত পাঠকদের উপর ছেড়ে দেয়া হল।

বুধবার, ১১ জুলাই, ২০১২

বিকৃত ইতিহাস



এই ব্লগের বিষয়বস্তু এবং বিভিন্ন উদ্ধৃতি সাধারণ মানুষকে চমকে দেবে। কারণ যুগযুগ ধরে আমাদেরকে সেখানো হয়েছে ১৯৪৭-এর ১৫ ই আগস্ট ভারতীয়রা ব্রিটিশের কাছ থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে নিয়েছে বলে এই তারিখটি স্বাধীনতা দিবস।কিন্তু যদি সত্য এই হয় যে,দিনটি ব্রিটিশের স্বেচ্ছায় চলে যাওয়ার তারিখ অথবা শক্তির হস্তান্তর দিবস মাত্র তাহলে ?
সম্রাট অশোকের মত কত সব প্রাচীন সম্রাট এবং রাজাদের ইতিহাস যুগযুগ ধরে সেখানো হচ্ছে। কিন্তু যদি প্রমাণিত হয় যে তাদের অনেকের মত সম্রাট অশোক নামে কোন সম্রাটের পৃথীবিতে জন্মই হয়নি- তাহলে ?
তথাকথিত সুপ্রাচীন অবহট্ট, দ্রাবিড়, সংস্কৃত,অসমীয়া প্রভৃতি ভাষার ইতিহাস আমাদের শেখানো হয়েছে। কিন্তু যদি প্রমাণিত হয় যে, ঐ সব ভাষার বেশ কিছু আসলে সাহেবী ব্রেনের বাহাদুরী, এই সেদিন ব্রিটিশ আমলে ওসব তৈরি করা- তাহলে ?

মুকুটহীন সম্রাট



আশার কথা এটাই, দুর্লভ হলেও এমন কিছু কলমধারী ছিলেন এবং এখনো আছেন, যারা তাদের দুর্বার কলমের গতি তাদের লক্ষ্য থাকবেনা নিজের আখের গোছানোর প্রতি, তাঁরা তোয়াক্কাই করবেন না পি-এইচ.ডি.লিট., পদ্মভূষণ, ভারতরত্ন, প্রভৃতি সম্মানের, তাঁরা তোয়াক্কা করবেন না তাদের বই বাজেয়াপ্ত হওয়ার সন্ত্রাসকে, তাদের তোয়াক্কা থাকবে না পুলিশি হাজতবাস এবং কারাগারের অমানুষিক যন্ত্রণার। ঐ সমস্ত মুকুটহীন সম্রাট ও রাজাদের সিংহাসন আবদ্ধ থাকবেনা ইট আর পাথরের প্রাসাদে, বরং তাদের সিংহাসন বিরাজ করবে কোটি কোটি মানুষের মূল্যবান হৃদয়ে- সত্যসন্ধানী মানুষের শ্রদ্ধা ভালবাসায় তাঁরা হয়ে থাকবেন চির অমর চির ভাস্বর।

বিষাক্ত কলম



বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ধর্মের নামে মনগড়া কুসংস্কার আর মিথ্যা ইতিহাস সমাজের সামনে তুলে ধরতে ব্যবহৃত হয় দৈনিক সংবাদপত্র,পুস্তক পুস্তিকা,পত্র-পত্রিকা, বেতার,দূরদর্শন, সিনেমা, থিয়েটার, জনশ্রুতি, বিজ্ঞাপন প্রভৃতি সরকারি বেসরকারি প্রচারমাধ্যম। সূক্ষ্ম দৃষ্টি দিলে দেখা যাবে এ সবের পিছনে লুকিয়ে আছে কতকগুলো বিষাক্ত কলম; মিথ্যাচারিতা, শঠতা এবং বেইমানির ফলস্বরূপ আসার কিংবদন্তীগুলোকে যুগযুগ ধরে টিকিয়ে রেখে আসছে একদল কুচক্রী কলমধারী। আবার এই সমস্ত কুচক্রীদের সরকারি মদদ, শিক্ষা ও সংস্কতি দফতর থেকে বরাদ্দ অর্থ এবং নানারকম প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ সহযোগিতার মাধ্যমে তাদের ভাগ্য সুপ্রসন্ন করা হয় সোনায় সোহাগা মেশার মত।  

মঙ্গলবার, ১০ জুলাই, ২০১২

ইতিহাসের আর্তনাদ

আমাদের সমাজে দুর্বলদের সবলেরা যখন অত্যচার করে, যখন উন্নত শ্রেণী অনুন্নতদের ছোটলোক বলে চিহ্নিত করে, যখন বর্ণশ্রেষ্ঠরা বঞ্চিত আনগ্রসরদের উন্নতির পথ রুদ্ধ করে, যখন তারা বিদেশী, গুপ্তচর, যবন, হরিজন, আচ্ছুত প্রভৃতি উপাধি ঝুলিয়ে দেয় তাদের নামে, যখন কারণে অকারণে তাদের হতে হয় নিহত অথবা আহত, পদে পদে হতে হয় লাঞ্ছিত অথবা বঞ্চিত তখন প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের আওয়াজ তুলতে চাইলে অথবা বিচারপ্রার্থী হলেও যদি তাকে চিহ্নিত করা হয় সাম্প্রদায়িক অথবা সমাজবিরোধী বলে, তাহলে তা হবে আরো নির্মম আরো বেদনাদায়ক

সোমবার, ৯ জুলাই, ২০১২

ইতিহাস কেন জানব ?


চলমান ইতিহাসে আলোচিত অনেক অজানা বিভ্রান্তিপূর্ণ তথ্যের গবেষণাভিত্তিক সত্যনিষ্ঠ বিবরণ। যার মাধ্যমে অসত্যকে প্রতিরোধ করে দুর্বার গতিতে সত্যের বিজয় প্রতিষ্ঠা করা আর ইতিহাসের পথ পরিক্রমাকে সমুন্নত রাখা। এটাই হচ্ছে এই প্রচেষ্টার একমাত্র লক্ষ-উদ্দেশ্য ও বৈশিষ্ট্য। তাই এসব তথ্য বর্তমান ও আগামী প্রজন্মের উদ্দেশ্যেই নিবেদিত। হয়তবা এরই সূত্র ধরে চলমান ইতিহাসের পাতার বিভ্রান্তিপূর্ণ অনেক ঐতিহাসিক তথ্যই দূরীভূত হয়ে রচিত হবে আরেক সত্যনিষ্ঠ ইতিহাস। তাই ইতিহাস পাঠ করার অভ্যাস করুন। ইতিহাস শুধু জাতির মেরুদণ্ডই নয়, জাতির ব্যক্তিজীবনের সফলতার পথনির্দেশকও।