তিনি জন্মেছিলেন ১৫৩৩-এ। সারা জীবন তিনি অবিবাহিতা ছিলেন। সিংহাসনে বসেছিলেন ২৫ বছর বয়সে। মোট রাজত্ব করেছিলেন ৪৫ বছর। ঐ সময় ভারতে সম্রাট আকবরের রাজত্ব চলছিল। তিনি যদিও মুসলমান সম্রাট হুমায়ুনের পুত্র, তবুও এক নতুন ধর্ম তৈরি করেছিলেন। যেটার নাম দিয়েছিলেন তিনি “দ্বীনি-ইলাহী”। তাথ্যিক পণ্ডিত-গণের অনেকের মতে ঐ ধর্মটি ছিল ইসলাম ধর্মের বিপরীত। কারণ মদ ও জুয়া তার ঐ ধর্মে বৈধ ছিল। তার স্ত্রীর সংখ্যা নিয়ে মতভেদ থাকলেও পাঁচ হাজার পর্যন্ত পাওয়া যায়। ১৫৯৯ খ্রিস্টাব্দে রাণী ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানিকে এ দেশে বাণিজ্য করার অধিকার দেন। ১৫৯৯ এর শেষ ভাগে কয়েকজন ইংরেজ ব্যবসাদার মিলে গঠন করেছিল ঐ ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানি। ঐ কম্পানি কালক্রমে জয় করেছিল ভারতবর্ষ। রাজনৈতিক কারণে ১৮৫৮ তে ইংল্যন্ডের তদানীন্তন রাণী ভিক্টোরিয়া তাদের কাছ থেকে কেড়ে নেন ভারতবর্ষ শাসনের অধিকার।
মুসলমান শাসকদের সময়ে বহু বিদেশি শক্তি ভারতে প্রতিষ্ঠিত হবার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয়েছিল তারা। আকবর রাজপুত জাতির সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক পাতিয়ে যেমন তাদেরকে বসে আনতে সক্ষম হয়েছিলেন তেমনি চিরকুমারী রাণী এলিজাবেথের পাঠানো বণিক কোম্পানি তথা রাণীর অনুরোধপত্র হয়ত রঙিন সপ্ন দেখিয়েছিল তাকে। তাই হয়ত বৃহত্তর স্বার্থের আশা নিয়েই ঐ বিলেতি কোম্পানিকে তিনি দিয়েছেলেন অবাধে ব্যবসা করার অনুমতি। আকবরের মৃত্যুর পর তার পুত্র জাহাঙ্গীর পিতৃরোপিত অনুপ্রবেশের বিদেশি অঙ্কুরগুলোকে আরো মাথা উঁচু করার সুযোগ করে দেন। রাণী পরলোকগমন করেন ১৬০৩ খৃষ্টাব্দে।
মুসলমান শাসকদের সময়ে বহু বিদেশি শক্তি ভারতে প্রতিষ্ঠিত হবার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয়েছিল তারা। আকবর রাজপুত জাতির সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক পাতিয়ে যেমন তাদেরকে বসে আনতে সক্ষম হয়েছিলেন তেমনি চিরকুমারী রাণী এলিজাবেথের পাঠানো বণিক কোম্পানি তথা রাণীর অনুরোধপত্র হয়ত রঙিন সপ্ন দেখিয়েছিল তাকে। তাই হয়ত বৃহত্তর স্বার্থের আশা নিয়েই ঐ বিলেতি কোম্পানিকে তিনি দিয়েছেলেন অবাধে ব্যবসা করার অনুমতি। আকবরের মৃত্যুর পর তার পুত্র জাহাঙ্গীর পিতৃরোপিত অনুপ্রবেশের বিদেশি অঙ্কুরগুলোকে আরো মাথা উঁচু করার সুযোগ করে দেন। রাণী পরলোকগমন করেন ১৬০৩ খৃষ্টাব্দে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন