ইলাইজা ইম্পে [Sir Impay Elijah]
জন্ম নেন ১৭৩২ সালে। তাঁকে পাঠানো হয়েছিল ভারতের সুপ্রীপ কোর্টের বিচারপতি করে। নিম্ন আদালত থেকে আসা বিচারগুলো তাঁর কাছে এসেই শেষ হত অবিলম্বে। সুতরাং ভারতের বৃটিশ বিরোধী ব্যক্তি বা বিপ্লবীদের, বিশেষ করে নেতৃত্ব দেবার ক্ষমতা আছে এই রকম আসামীদের, কেমন করে যাবজ্জীবন ও ফাঁসি দেওয়া যায় সে বিষয়ে তিনি ছিলেন অভিজ্ঞ বিচারক। অনেক ফাঁসির রায়প্রাপ্ত আসামীকে বাহ্যতঃ করুণা প্রদর্শন করে যাবজ্জীবনের কারাদন্ড দিতেন। অবশ্য কারাগারে তাদের মৃত্যুই ঘটানো হতো আর রটিয়ে দেয়া হতো হৃদরোগের মৃত্যু বলে। ১৭৭৫ খৃষ্টাব্দে মহারাজ নন্দকুমারকে জালিয়াতির অভিযোগে ফাঁসির দন্ড দিয়েছিলেন ঐ বিচারপতি মিঃ ইম্পে। অথচ সত্যিকথা এটাই, যে অভিযোগের তাঁর ফাঁসি হয়েছিল সেই অভিযোগটি ছিল মিথ্যা। ঐ ব্রাহ্মণ নন্দকুমারের ফাঁসির পর বহু হিন্দুর ইংরেজ প্রীতিতে ভাটা সৃষ্টি হয়। বিলেত থেকে খবর এল তাঁকে দেশে ফিরে যেতে হবে, তাঁর বিচার হবে সেখানে। আমাদের ভারতের রাজা, মাহারাজা, জমিদার, এমনকি অনেক আশ্রমের সাধুজীরা বিলেতে গাদাগাদা চিঠি লিখলেন যাতে ন্যায়াধিরাজ মহান বিচারপতির শাস্তি না হয়। আর তাই ইংরেজ শাসক মিঃ ইম্পেকে ভূষিত করেছিলেন ‘স্যার’ উপাধিতে। ১৮০৯ খৃষ্টাব্দে তিনি বিদায় নেন পৃথিবী থেকে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন