রবিবার, ২৬ আগস্ট, ২০১২

স্যার চার্লস উইলকিন্স [Sir Charles Wilkins]

স্যার চার্লস উইলকিন্স [Sir Charles Wilkins]। তিনি খ্রিষ্টাব্দ ১৭৫০ এ জন্মগ্রহণ করেন।১৮৩৮ এ হয় তার পরলোক যাত্রা। ইনি ২০ বছর বয়সে বিলেত থেকে ভারতে আসেন । অর্থাৎ ১৭৭০ খৃষ্টাব্দে। তিনি সফল ও সক্ষম হয়েছিলেন ইংরেজদের মধ্যে সংস্কৃত শিক্ষার একটা বিশেষ ষড়যন্ত্র করতে । তিনি একথা রটাতে থাকেন যে, তাঁরাই নাকি উদ্ধার করেছেন আসল ‘দুর্লভ গীতা’। ১৭৮৫ তে ইংলণ্ডে প্রথম ছাপা হয় তাঁর ইংরাজী অনুবাদ। ভারতের নব্যদল এতে অবাক হয়- গীতা এমন এক দামী গ্রন্থ যা কুড়িয়ে পাওয়া হীরের মত। আর তা ইংলণ্ডে গিয়ে হাজির! আমরা তার মর্যাদাই বুঝলাম না। সুতরাং গীতা পড়বার বা জানবার একটা পিপাসা সৃষ্টি করতে বৃটিশ সরকার সক্ষম হয় ভালভাবে । স্যার উইলকিন্স ১৭৭৯ খৃষ্টাব্দে সৃষ্টি করেন সংস্কৃত ব্যাকরণ। কিন্তু ব্যাকরণটা যদিও ‘ব্যাকরণ’ হয়নি তবুও ব্যাকরণ রচনা হয়েছে- এটাই একটা নতুন পদক্ষেপ। বাংলা ও পার্শী ভাষায় টাইপ তৈরি করেছিলেন। একটি গবেষণাগার তৈরির প্রয়োজন হয় যাতে থাকবে অনেক বই পুস্তক, মুদ্রা, পুঁথি প্রভৃতি আর প্রত্নত্ত্বের তথ্য। সেইজন্য ভারতের কলকাতায় তৈরি হয় ‘ এশিয়াটিক সোসাইটি’ নামক একটি প্রতিষ্ঠান। যেটি পূর্বেই প্রতিষ্ঠা করে গেছেন বিচারপতি স্যার্ জোনস ১৭৮৪-তে। এইসব প্রচারের জন্য একটি পত্রিকা প্রয়োজন হয় । তাই ‘এশিয়াটিক রিসার্চেস’ নামে একটি পত্রিকারও সৃষ্টি হয়ে গেল সহজেই। ১৭৮৬ তে তাঁর দায়িত্ব পালন করে স্বদেশে ফিরে গেলেন তিনি। দেশে ফিরে একদল ইংরেজ পণ্ডিত নিয়ে ২২ বছর গবেষণা করে প্রকাশ করলেন আবার একটি সংস্কৃত ব্যাকরণ। দেখা গেল প্রথম ও দ্বিতীয় ব্যাকরণের মধ্যে কোন মিল নেই!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন